মাসিকের রক্ত কম হলে কি খেতে হবে - পিরিয়ডের সময় কলা খেলে কি হয়
মাসিকের রক্ত কম হলে কি খেতে হবে - পিরিয়ডের সময় কলা খেলে কি হয় এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন এছাড়া আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব মাসিকের রক্ত কম হলে কি খেতে হবে - পিরিয়ডের সময় কলা খেলে কি হয় আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন মাসিকের রক্ত কম হলে কি খেতে হবে - পিরিয়ডের সময় কলা খেলে কি হয় শুধুমাত্র একটি পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারবেন ।
মাসিকের রক্ত কম হলে কি খেতে হবে - পিরিয়ডের সময় কলা খেলে কি হয় |
এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে মাসিকের রক্ত কম হলে কি খেতে হবে - পিরিয়ডের সময় কলা খেলে কি হয় সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না ।
মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি করতে হয়
মেয়েদের পিরিয়ড চলাকালীন নানা রকম সমস্যা দেখা দেয় যেমন পেটে ব্যথা, শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা, মানসিক অবসাদ, বিরক্তি দেখা দিতে পারে। তাই এ সময় মেয়েদের বাড়তি কিছু যত্ন নেওয়া উচিত। নিচে কিছু পিরিয়ড চলাকালীন সময়ের সচেতনতা লিখা হল :
*প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত এই সময়। স্যানিটারী প্যাড ইউজ করা প্রয়োজন। দিনে (৪থেকে ৬)ঘন্টা অন্তর প্যাড চেঞ্জ করা উচিত।
*এ সময় হরমনের প্রভাবে নানা রকম মানসিক চাপ ও চিন্তা মাথায় ঘুরপাক করে। তাই এ সময় এগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে কোনভাবেই চাপ নেওয়া যাবে না। দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে সব সময়। মনে সব সময় আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে ও কর্মচঞ্চল জীবনযাপন করতে হবে।
*পিরিয়ড চলাকালী চলে শ্যাম্পু করা যাবে না কারণ এ সময় চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায়। নলকূপ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে তাই এ সময় শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুল ঝরে যায়।
*পিরিয়ড চলাকালীন পুকুর বা নদীতে গোসল করা যাবে না কারণ এ সময় জরায়ু উন্মুক্ত অবস্থায় থাকে।
*পিরিয়ড চলাকালীন জরায়ু খুবই লাজুক অবস্থায় থাকে তাই এই সময় সঠিকভাবে চলাফেরা করতে হবে কোনভাবেই পেটে যেন আঘাত না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
*পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে কাপড় ব্যবহার না করে এই স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত।
*অনিয়মিতার পিরিয়ড বা যেকোনো সমস্যা হলে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
মেয়েদের পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে এ বিষয়গুলোর প্রতি সবসময় খেয়াল রাখতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী চলতে হবে তাহলে কোন রকম সমস্যা দেখা দেবে না।
মাসিকের রক্ত কম হলে করনীয়
যেকোনো কারণেই মাসিকের রক্ত কম হয়ে থাকে। আমাদের দেশের অনেক মেয়েরা রক্তস্বল্পতা ও অ্যানিমিয়ায় রোগে ভোগেন। এ কারণে মাসিকের রক্ত কম হয়ে থাকে। তাই মাসিকের রক্ত চটি কম হয়ে থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ মতে চললে এই সমস্যা টি তাড়াতাড়ি দূর হয়।
নানা কারণে মাসিকের রক্ত কম হয়ে থাকে কারণ ও করণীয় গুলো হলো :
*বয়সন্ধিকালে পিরিয়ডের নানা রকম সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। বিভিন্ন হরমোনের তারতম্যের জন্য এ সমস্যাগুলো দেখা যায়।
*আপনার ওজন যদি স্বাভাবিকের তুলনায় কম হয়ে যায় তখন আপনার ব্লিডিং কম হয়ে থাকে। আবার ওজন যদি বেশিও হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রেও অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া আপনার খাদ্যভাস যদি ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার হয়ে থাকে এতে পিরিয়ডের সমস্যার উপর প্রভাব ফেলে থাকে। তাই এগুলো কারণে মাসিকের রক্ত কম বা বেশি হলে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে তাহলে আপনি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
*অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে পিরিয়ডের উপর প্রভাব পড়ে থাকে। এ সময় দেখা যায় যে রক্তপাত খুব কম হয় আবার দেখা যায় যে খুব বেশিও হয়ে থাকে। যারা নাচ করেন, দৌড়াদৌড়ি করেন, অতিরিক্ত ভার বহন করেন তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যাগুলো দেখা দেয়। তাই প্রতিদিন সুষম খাবার আহার করলে এ সমস্যা গুলো থেকে দূরে থাকা যায়। তাই ফল শাকসবজি অবশ্যই খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
*অনেক সময় দেখা যায় যে মাসিকের রক্ত সবচেয়ে কম হওয়ার কারণ হলো মানসিক চাপ, হরমোনের তারতম্য ইত্যাদি কারণে। তাই এ সময় কোনরকম চিন্তা করা যাবে না। সব সময় ফ্রি মাইন্ডের থাকতে হবে।
তাই বলা হয় ইত্যাদি এসব কারণেই মাসিকের রক্ত কম হয়ে থাকে। তাই আপনাকে সবসময় সচেতন থাকতে হবে এবং বেশি সমস্যা দেখা গেলে অবশ্যই আপনাকে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
পিরিয়ডের সময় শসা খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় শসা খেলে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ শসার মধ্যে থাকার রস পিরিয়ডের সময় রক্তকে জরায়ুর প্রাচীরের আটকে দিতে পারে। তখন নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয়। শরীরের রোগ বাসা বাঁধে যেমন জরায়ুতে সিস্ট অথবা ক্যান্সার এর মত মারাত্মক রোগ।
মাসিকের রক্ত কম হলে কি খেতে হবে
মাসিকের রক্ত কম হওয়ার নানা কারোন থাকতে পারে। শরীরে নানা রকম পুষ্টির ঘাটতির কারণে রক্ত কম হয়ে থাকে। তাই এ সময় পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। নিচে কিছু খাদ্য তালিকায় দেওয়া হল
*আপনার শরীরে যদি আয়রনের ঘাটতি থাকে তাহলে আপনি আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য এগুলো খেলে আপনার আয়রন হবে সেগুলো পুষ্টি উপাদান আপনি খাবেন। যেমন :মাছ, মাংস, ডিম, কলিজা, পুঁইশাক , কচু শাক, খেজুর,পাকা তেতুল ইত্যাদি খাবেন।
*যদি আপনার রক্তশূন্যতা হয় তাহলে আপনি চর্বি সারা লাল মাংস খেতে পারেন।
*হাইড্রেটেড এর অভাব থাকলে আপনি পানি সমৃদ্ধ ফল যেমন : শসা, আপেল, তরমুজ, ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে ।
*সবুজ শাকসবজি :সময় মাসিকের রক্ত কম হলে ফাইবার জাতীয় খাবার গুলো খেতে হবে। কারণ ফাইবার যুক্ত খাবার গুলো রক্ত চলাচল করতে সাহায্য করে থাকে। সবুজ শাকসবজিতে আরো রয়েছে আইরন ও ভিটামিন যা কিনা হজমে সাহায্য করে থাকে। যেমন :সরিষা শাক, কচু শাক, বোত্তা শাক, কাঁচা কলা ইত্যাদি আইরন সমৃদ্ধ খাবার। তাই এই খাবারগুলো মাসিকের সময় যদি রক্ত কম হয় তাহলে আপনি খেতে পারেন।
*মাসিকের সময় বিশেষত খাদ্য, কলা, মটরশুঁটি, সিম, লেবু, মাংস প্রভুতি রক্তশূন্যতা পূরণ করতে সাহায্য করে থাকে। তাই পিরিয়ডের সময় যদি রক্ত কম হয় তাহলে আপনি এই খাবারগুলো খেতে পারেন।
এ সময় খেতে হবে বেশি করে পালং শাক, কচুর লতি, ডিমের সাদা অংশ ইত্যাদি বাদাম খাওয়ার প্রতি যোর দিতে হবে।
প্রতিমাসে মাসিকে সময় মেয়েদের শরীর থেকে অনেকটা পরিমাণের রক্ত বেরিয়ে যায়। তখন মেয়েদের শরীরে নানা রকম আয়রনের অভাব দেখা দিয়ে থাকে। এজন্য আপনি মাসিকের সময় বা মাসিকের পর সব সময় আপনাকে খাদ্য তালকায় সবজি ফল ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে। যা রক্তস্বল্পতা পূরণ করতে সাহায্য করে থাকে।
পিরিয়ডের সময় টক খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় টক খেলে কোনরকম সমস্যা দেখা দেবে এটা কোন গবেষণায় প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু সবাই বলে থাকে যে পিরিয়ডের সময় টক খাওয়া যাবেনা এতে ব্লিডিং বেড়ে যায়। এটা একটি ভুল ধারণা। টকের কারণে কোনরকম অসুবিধা হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু আপনি যদি টকফালের সাথে বিভিন্ন মসলা জাতীয় লবণ ইত্যাদি মিশিয়ে খান সেক্ষেত্রে আপনার সমস্যা দেখা দিতে পারে। পিরিয়ডের সময় সাধারণত কোন ধরনের টক খাবার খেলে কোনরকম ব্যথা বা ব্লিডিং এর পরিমাণ বেড়ে যায় না। তাই বলা হয় টক খাবারের সাথে পিরিয়ডের কোন সম্পর্ক নেই।
পিরিয়ডের সময় যেভাবে টক খাবারগুলো খেলে সমস্যা ও ব্লিডিং এর পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে সেগুলো হল :
*বিশেষ টক খাবারের মধ্যে হলো লবণযুক্ত খাবার খেলে সমস্যা হয়ে থাকে। যেমন আপনি বিভিন্ন ধরনের টক ফলের সাথে লবণ মিশিয়ে খাচ্ছেন তাহলে আপনার সমস্যা দেখা দেবে। লাবণ মূলত ক্ষতির কারণ এজন্যই ক্ষতি হয়ে থাকে। টক ফল খাওয়ার জন্য কোনরকম ক্ষতি হয় না।
*পিরিয়ডের সময় ফ্যাক্টরিতে যে আচারগুলো তৈরি হয় এই টক জাতীয় আচারগুলো খাওয়া যাবেনা এগুলো খেলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।উচ্চে মাছ চাষ সোডিয়াম বাড়িয়ে দেয় যা রক্তপাত বাড়িয়ে দিয়ে থাকে।
তাই আপনি পিরিয়ডের সময় টক জাতীয় ফল খেতে পারবেন। কিন্তু মসলা দেওয়া বা লবণ দেওয়া কোন রকমের টক ফল বা টক জাতীয় খাবার খাবেন না।
পিরিয়ডের সময় আইসক্রিম খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় আইসক্রিম চকলেট খেলে নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয়। এগুলো প্রচুর পরিমাণে খেলে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। উচ্চ শর্করার পরিমাণ দেহে প্রদাহ বাড়িয়ে তোলে এতে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। পিরিয়ডের সময় আপনার শরীরে নানা রকম অস্থিরতা বা অস্বস্তি সম্মুখীন হবেন তখন। তাই বলা হয় এ সময় সীমিত পরিমানের চিনি গ্রহণ করা উচিত।
পিরিয়ডের সময় অনেক মহিলার তলপেটের ব্যথা ও দুর্বলতার মুখোমুখি হয়ে থাকেন। একটা সময় তাদের মন খারাপ, মানসিক চাপ ইত্যাদি হয়ে থাকে। তাই এ সময় বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে সব সময় শরীরের যত্ন করতে হবে। ডায়েটের খেয়াল রাখলে এ সময় শরীরের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের সমাজে অনেক মহিলা রয়েছে যারা পিরিয়ডের সময় অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলো বেশি বেছে নেন যেমন আইসক্রিম, চকলেট, চিপস ও বিভিন্ন মসলা জাতীয় বাইরের ফাস্টফুড খাবার।
এজন্য তারা তখন মনের খেয়াল রাখতে যে শরীরের ও স্বাস্থ্যের খারাপ করে ফেলে। তাই এগুলো থেকে বিরত থাকাই উচিত। নিজের শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখা উচিত এতে আপনার শরীর মন দুটোই ভালো থাকবে। তাই বলা হয় এ সময় বাইরের আইসক্রিম বা ফাস্টফুড জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকা উচিত। মিষ্টি জাতীয় বেশি খাবার শরীরের ভারসাম্যহীন করে ফেলে। আপনাকে এই সময় মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি এমন খাবার বেছে নিতে হবে যা আপনার ঋতুস্রাব এর সময় শরীরের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।
পিরিয়ডের সময় দুধ খেলে কি হয়
পিরিয়ডের সময় দুধ ও চিজ জাতীয় খাবার খেলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। কারণ দুধ হজম করতে বেশি সময় লাগে। অনেক সময় দেখা যায় দুধে অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা হয়। তাই বলা হয় এই দিনগুলোতে এ জাতীয় খাবার না খাওয়াই উচিত। কিন্তু আপনি যদি তারপরেও দুধ খেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি হলুদ মেশানো দুধ খেতে পারেন এতে আপনি নানা রকম উপকার পেয়ে থাকবেন। যেমন
*রক্ত পরিশোধনে সাহায্য করে থাকে : হলুদ হলো আগের মসলা যা বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে সবাই। হলুদ এবং হলুদের কমলার রঙ থেকে আসে কারকিউমিন যার রক্ত পরিশোধন প্রক্রিয়ার সাহায্য করে থাকে। তাই এ সময় রক্ত খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়ে থাকে।শরীরের আয়রনের মাত্রা উন্নতি করে থাকে। তাই আপনি পিরিয়ডের সময় যদি দুধ খেতে চান তাহলে হলুদ দিয়ে মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
*হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে : হলুদ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে। আমাদের ধমনীকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে হলুদ দুধ দিয়ে খেলে। রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া উন্নতি রাখে ও রক্ত শক্ত হওয়া থেকে বাঁচাই। অনেক সময় আমাদের পেটে অনেক ব্যথা হয়ে থাকে। এই সময় তাই হলুদ দুধ দিয়ে খেলে এ সময় প্রচন্ড সৃষ্টির ব্যথা কমাতে কাজ করে থাকে।
*রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখে :অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মারাত্মক কাজ করে থাকে হলুদ দিয়ে দুধ খেলে। আমাদের শরীরের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। হলুদ দিয়ে দুধ খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি শর্করার শোষণকে ধীড় করে তোলে এতে শর্করা ব্যবহার করা সহজ হয়ে থাকে। তাই বলা যায় যে হলুদ দুধ একসাথে মিশিয়ে খেলে আরো কার্যকারিতা পাওয়া যায় শরীরের।
*হজমের উন্নতি করে : হলুদ ও দুধ একসাথে মিশিয়ে খেলে পচনতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে। আপনি যদি এটি সকালে পান করেন তাহলে আপনার সারাদিনের শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে। শরীরে অনেক সুস্থী দেয়। হলুদ দুধে রয়েছে ভিটামিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এ পরিপূর্ণ যা হজম ও শরীরের অন্যান্য সমস্যা ভালো করতে সাহায্য করে থাকে।
তাই আপনি পিরিয়ডের সময় এমনি দুধ না খেয়ে যদি দুধ খেতে চান তাহলে হলুদ মিশিয়ে খেলে আপনি সবচেয়ে ভালো উপকার পাবেন।
পিরিয়ডের সময় লেবু খেলে কি হয়
লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি তাই শরীরের ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করতে লেবু সাহায্য করে থাকে। পিরিয়ডের সময় নানারকম সমস্যা হয়ে থাকে তখন লেবু খেলে সেগুলো থেকে মুক্ত পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি পিরিয়ডের সময় ভাতের সঙ্গে বা লেবুর শরবত করে খান আপনার মুখের রুচি বাড়বে। তাই পিরিয়ডের সময় লেবু খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
পিরিয়ডের সময় লেবু খেলে যা উপকার পাওয়া যায় তা হল
*লেবু খেলে এসময় শরীরকে হাইড্রেট করে তোলে।
*লেবুর জল হল সাইট্রিক এসিড, সামান্য চিনি এবং লেবুর প্রেসার একসাথে পানিতে মিশিয়ে খেলে আপনার মুখের রুচি বাড়বে।
*আপনি যেকোনো সময় নেবু ফুটন্ত পানি অথবা ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে খেতে পারবে। এ সময় প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি লেবুর শরবত করেও খেতে পারবেন এতে আপনার উপকারে আসবে।
*পিরিয়ডের প্রচুর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে লেবু।
পিরিয়ডের সময় এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো কোনোভাবেই খাওয়া ঠিক নয় যেমন :কফি বা দুধ চা এড়িয়ে চলতে হবে। অতিরিক্ত ভারী খাবার, তেল ভাজাপোড়া, কোল্ডড্রিংস ও অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার, অতিরিক্ত মিষ্টি ঘন দুধ জাতীয় খাবার এগুলো খাওয়া যাবে না। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো থেকে এ সময় একবারে বিরত থাকতে হবে। তাহলে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
এভাবে আপনি যদি খাবারের দিক নিয়ম মেনে চললে পিরিয়ডের সময় শরীরের এনার্জি ও স্বাস্থ্য সুস্থ থাকবে।
পিরিয়ডের সময় কলা খেলে কি হয়
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম।যা রক্ত নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। শরীরের ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে থাকে কলা। কলা শরীরের প্রচুর পরিমাণে শক্তি যোগায়। পিরিয়ডের সময় কলা খেলে কি উপকার পাওয়া যায় তা নিতে লেখা হলো
* ম্যাগনেসিয়াম এর অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে থাকে কলা। তাই ম্যাগনেসিয়াম এর অভাব পূরণ করতে প্রচুর পরিমাণে কলা খাওয়া উচিত।
*কলাই হয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ভিটামিন। তাই কলা কে পটাশিয়াম এর উন্নত ভান্ডার বলা হয়। তাই এ সময় কলা খেলে বিষন্নতায় দূর হয়ে থাকে।
*গলা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায়। তাই এ সময় কলা খাওয়া প্রচুর পরিমাণে দরকার।
*পিরিয়ডের সময় প্রচুর পরিমাণে খিচুনির মতো ব্যথা হয়ে থাকে আর এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কারোন কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম।
তাই বলা হয় পিরিয়ডের সময় কলা প্রচুর পরিমাণে উপকারে আসে। তাই এই সময় প্রতিদিন এক থেকে দুইটা করে হলেও কলা খাওয়া উচিত।
শেষ কথা: মাসিকের রক্ত কম হলে কি খেতে হবে - পিরিয়ডের সময় কলা খেলে কি হয়
পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা মাসিকের রক্ত কম হলে কি খেতে হবে - পিরিয়ডের সময় কলা খেলে কি হয় জানতে পারলেন । মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার কোন সমস্যা হওয়ার কথা না মাসিকের রক্ত কম হলে কি খেতে হবে - পিরিয়ডের সময় কলা খেলে কি হয় সম্পর্কে জানতে পারলেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url